শিরোনাম :

মহানগরীতে মোটরসাইকেল চোরচক্র গ্রেফতারে অভিযান পরিচালনার নির্দেশ


১৬ জানুয়ারি, ২০২৪ ৬:০৫ : অপরাহ্ণ

কেএমপি’র সদর কার্যালয়ে কমিশনার মোঃ মোজাম্মেল হকের সভাপতিত্বে গতকাল সোমবার বিকেল ৩টায় খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের অপরাধ পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। অপরাধ পর্যালোচনা সভায় কেএমপি’র পুলিশ বিদ্যমান আইন-শৃঙ্খলা সন্তোষজনক থাকায় সকলকে ধন্যাবাদ জ্ঞাপন করেন।
তিনি বলেন, খুলনা মহানগরীতে জঙ্গী ও সন্ত্রাস, মাদক, মানব পাচার, চাঁদাবাজী প্রতিহতসহ যানজট মুক্ত নগরী গড়তে কেএমপি বদ্ধ পরিকর। এছাড়াও হত্যা, ডাকাতি, দস্যুতা, গণধর্ষণ, অপহরণসহ গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর মামলাসমূহের নিবিড়ভাবে তদন্ত করতে সভায় উপস্থিত কর্মকর্তাদের বিশেষ নির্দেশনা প্রদান করেন। যে কোন ধরণের ফৌজদারি আপরাধ সংঘটন ও অনাকাক্সিক্ষত পরিস্থিতি যাতে সৃষ্টি না হয় সে জন্য তথ্য-প্রযুক্তির ব্যবহার করে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করে সরকারি দায়িত্ব পালন করতে সংশ্লিষ্ট অফিসারদেরকে গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা প্রদান করেন। সকল পদমর্যাদার অফিসার- ফোর্সকে ডিসিপ্লিন মেনে চলতে হবে এবং কারো অনাকাক্সিক্ষত চলাফেরার কারণে যেন পুলিশ ডিপার্টমেন্টের বদনাম না হয় সে দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। কেএমপিকে সবাই মিলে একটি চমৎকার গতিশীল ইউনিটে পরিণত করতে তৎপর আছেন মর্মে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
কেএমপি কমিশনার আরও বলেন, মহানগরীতে মাদক সংক্রান্ত কোন অভিযোগ শুনতে চাই না। এজন্য মাদক বিক্রেতা ও সন্ত্রাসীদের তালিকা অনুযায়ী মাদক বিক্রেতা ও সন্ত্রাসী, জুয়াড়ি, দেহ ব্যবসায়ী ও ভূমিদস্যুদের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান চলমান থাকবে। মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ সকল গুরুত্বপূর্ণ মামলার ছায়া তদন্ত করবে। কেএমপি’র আওতাধীন এলাকায় চুরির ঘটনা ঘটলে দ্রুততার সাথে মামলা রুজু করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করেতে হবে। এক্ষেত্রে চোর চক্রের ডাটাবেজ করতে হবে এবং চুরি বন্ধে টহল পুলিশ নাইট গার্ডদের সতর্ক করবে। পাশাপাশি নগরীর থানা এলাকায় টহল ও মোবাইল ডিউটিকালীন সময়ে লাইট ও বাঁশি ব্যবহার করলে সিঁধেল চুরি বন্ধ হয়ে যাবে। এছাড়াও, মহানগরীতে মোটরসাইকেল চোরচক্র গ্রেফতারের জন্য বিশেষ অভিযান পরিচালনা করতে হবে। সকল থানার রুজুকৃত চাঞ্চল্যকর ও গুরুত্বপূর্ণ মামলা সমূহ দ্রুততম সময়ের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে হবে এবং যে কোন অপরাধ মোকবেলায় সর্বদা প্রস্তুত থাকতে হবে।
কেএমপি’র পুলিশ কমিশনার মহোদয় অপরাধ পর্যালোচনা সভায় ভালো কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে পুলিশ পরিদর্শক পদমর্যাদার দু’জন; এসআই পদমর্যাদার ৩৭ জন; এএসআই পদমর্যাদার ১৩ জন; নায়েক পদমর্যাদার একজন; স্টোনো পদমর্যাদার দুইজন; কনস্টেবল পদমর্যাদার ১৬ জন; অফিস সহকারি পদমর্যাদার একজনসহ সর্বমোট ৭২ জন পুলিশ ও নন-পুলিশ সদস্যদের অর্পিত দায়িত্ব সঠিকভাবে সম্পাদনের জন্য নগদ অর্থ ও সার্টিফিকেট এবং ক্রেস্ট প্রদান করেন।
এসময় কেএমপি’র অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (এএন্ডও) সরদার রকিবুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম ও ট্রাফিক এন্ড প্রটোকল) মোছাঃ তাসলিমা খাতুন এবং ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাবৃন্দসহ সকল পদমর্যাদার পুরষ্কারপ্রাপ্ত অফিসার ও ফোর্স উপস্থিত ছিলেন।

আরো সংবাদ