শিরোনাম :

খুলনায় শীতের সকালে এক পশলা বৃষ্টি


১৮ জানুয়ারি, ২০২৪ ১২:২৫ : অপরাহ্ণ

আগে থেকে আবহাওয়া বার্তা ছিল হতে পারে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি। ভোরের আলো ফোটার আগেই আকাশে একটু একটু করে কালো মেঘ জমতে শুরু করে। সকাল ৯টার পর হঠাৎ করেই গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি নামে শহরের বুকে। এতে ভিজে গেছে পুরো শহর। বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) সকালে এক পশলা বৃষ্টিতে শহরের পিচঢালা পথের সঙ্গে ভিজেছে রুক্ষ হয়ে যাওয়া সবুজ পাতারা। প্রাণ ফিরে পেয়েছে প্রকৃতি। তবে হঠাৎ বৃষ্টির কারণে দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে খেটে খাওয়া শ্রমজীবী ও অফিসগামী মানুষকে।
খালিশপুর বঙ্গবাসী স্কুল রোডের ফার্ণিচার দোকান মালিক মোঃ রাজু বলেন, ়কয়েকদিন ধরে খুব শীত। রোদ না ওঠায় কাঠ শুকানো যাচ্ছে না। এজন্য কাজও অনেকটা বন্ধ রয়েছে। আজ সকাল থেকে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টির কারণে এখন কাজ একেবাওে বন্ধ। সকালে খুব শীত থাকে। তবুও কাজের জন্য বের হতে হয়, পেটটা চালাতে হবে।
খুলনার আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ সিনিয়র আবহাওয়াবিদ মো. আমিরুল আজাদ বলেন, আমরা আগে থেকে বার্তা দিয়ে আসছি ১৮ জানুয়ারি খুলনায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আকাশে মেঘ জমার কারণে খুলনা, যশোরসহ বিভিন্ন স্থানে সকাল থেকে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। যেহেতু সকাল ৯টার দিকে বৃষ্টি হয়েছে, তাই বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বেলা ১২টায় রেকর্ড করা হবে। তবে দুপুরের পর থেকে বৃষ্টি কমে যাবে। আগামীকাল শুক্রবারও আকাশ মেঘলা থাকবে। তিনি জানান, খুলনায় চলতি বছরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল বুধবার (১৬ জানুয়ারি)। ওইদিন সর্বনিম্ন ১১.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। আজ আকাশ মেঘলা থাকলেও তাপমাত্রা কিছুটা বেড়েছে। আজ খুলনায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। ২০ জানুয়ারির পর আবারও তাপমাত্রা কিছুটা কমতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি। এদিকে বুধবার (১৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়, পাবনা, চুয়াডাঙ্গা, বরিশাল ও মৌলভীবাজার জেলাসমূহের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া মৃদু শৈত্যপ্রবাহ প্রশমিত হতে পারে। এছাড়া খুলনা ও বরিশাল বিভাগের অনেক জায়গায় এবং ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়াবিদ ড. মোঃ আবুল কালাম মল্লিকের সই করা ওই আবহাওয়া বার্তায় সিনপটিক অবস্থা সম্পর্কে বলা হয়েছে, উপ-মহাদেশীয় উচ্চচাপ বলায়ের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উত্তরপশ্চিমাঞ্চল পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টা থেকে শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। এই সময়ে রাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারাদেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং এটি কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন এবং সড়ক যোগাযোগে সাময়িকভাবে বিঘœ ঘটতে পারে। দিনের তাপমাত্রাও (১-২) ডিগ্রি সে. বৃদ্ধি পেতে পারে। তবে দেশের কোথাও কোথাও দিনে ঠান্ডা পরিস্থিতি বিরাজ করতে পারে। শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টা থেকে শনিবার (২০ জানুয়ারি) সন্ধ্যা পর্যন্ত আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, অস্থায়ী আংশিক বৃষ্টিপাত হতে পারে। রাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারাদেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং এটি কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায়অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

আরো সংবাদ